Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Achievements

মৎস্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক অর্জনসমূহ

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান (মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশের অধিক), রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সর্বোপরি দারিদ্র দূরীকরণে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের. সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তর প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশজ মোট উৎপাদন তথা জাতীয় জিডিপি'র ৩.৫৭ শতাংশ এবং মোট কৃষিজ আয়ের ২৫.৩০ শতাংশ মৎস্য উপখাত থেকে আসে (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৮) যার অর্থমূল্যে অবদান ৬০ হাজার কোটি টাকার অধিক। বিগত দশকে মৎস্য খাতে. জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.২৬ শতাংশ, যা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক ও স্থিতিশীল। দেশের রপ্তানি আয়েও এখাত রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৭২৩০৫.৬৮ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানী করে ৪,৫৮৭.৬৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ। বিগত ০৫ বছরে মাছের উৎপাদন ছিলো ৩৪.১০ (২০১২-১৩),৩৫.৪৮ (২০১৩-১৪), ৩৬.৮৪(২০১৪-১৫), ৩৮.৭৮ (২০১৫-১৬) এবং ৪১.৩৪ (২০১৬-১৭), লক্ষ মেট্রিক টন। অত্যান্ত আনন্দের বিষয়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রক্ষেপিত ৪৫.৫২ লক্ষ টনের লক্ষমাত্রাকে অতিক্রম করে অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে এবং বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ মৎস্য আহরণে সারা বিশ্বের মাঝে ৩য় অবস্থান এবং মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান সগৌরবে দখল করে আছে। বাংলাদেশের ভৌগলিক পণ্য হিসাবে স্বীকৃত জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদনে অভাবনীয় সফলতা এসেছে, ইলিশ উৎপাদন কারী দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। বিগত ০৫ বছরে কেবল ইলিশ মাছের উৎপাদন ছিলো ৩.৫১ (২০১২-১৩),৩.৮৫ (২০১৩-১৪), ৩.৮৭(২০১৪-১৫), ৩.৯৪ (২০১৫-১৬) এবং ৫.১৭ (২০১৭-১৮), লক্ষ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদিত হয়েছে ৫.২৫ লক্ষ মে. টন ইলিশ এবং মোট মাছের উৎপাদন ৪২.২৫ লক্ষ মে. টনে পৌঁছে গেছে। মাছ উৎপাদনের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর নিরন্তর কাজ করে চলছে।